‘মহানায়ক’ সম্মানের আদৌ ‘যোগ্য’ অঙ্কুশ? নিজেই জবাব দিলেন টলি অভিনেতা
এবারে চার নায়িকা ও এক নায়ককে দেওয়া হল ‘মহানায়ক’ সম্মান। নায়িকার তালিকায় রয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, কোয়েল মল্লিক ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নায়ক হলেন অঙ্কুশ হাজরা। আর প্রতিবারের মতো এবারও সেই খবর সামনে আসতেই ট্রোল শুরু করেছেন নেট-নাগরিকদের একাংশ।
প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কি ‘যোগ্য’ লোকের হাতে উঠল পুরস্কার, নাকি সবই রাজনীতি। যদিও সায়ন্তিকা ছাড়াও বাদবাকি কোনও অভিনেত্রীই সরাসরি তৃণমূল দলের অংশ নন। শুভশ্রীর বর রাজ চক্রবর্তী রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক।
পুরস্কার পাওয়ার পর অঙ্কুশ যে পোস্ট শেয়ার করলেন তাতেও কিন্তু রয়েছে এই ‘যোগ্য’-র কথাই। অভিনেতা লিখেছেন, ‘‘পুরষ্কার অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই গ্রহণ করলাম । প্রচুর পরিশ্রম বাকি নিজেকে এই পুরস্কারের যোগ্য করে তোলার জন্যে। আপাতত আমার মত একজন সামান্য ‘নায়ক’ কে সরকারের তরফ থেকে এই “মহানায়ক” সম্মান টি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’’
অভিনেতা আরও লেখেন, ‘‘নজরের সামনে সাজিয়ে রেখে দেবো যাতে রোজ চোখ পড়লেই নিজেকে বলি ‘ভাগ্যবান দয়া করে বিধাতা বানিয়েছেন .. যোগ্যতা পরিশ্রম করে নিজে অর্জন করো’।’’
অঙ্কুশের এই পোস্টে একজন নেট-নাগরিকের মন্তব্য, ‘আমি তোমায় অসম্মান করতে চাই না ,কিন্তু মহানায়ক ব্যাপারটা কে একটা হাস্যকর বিষয় বানিয়ে দিচ্ছেন আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, মহানায়ক মানুষ বানায় তার জন্য পুরস্কার লাগে না। কিন্তু ওই উপাধিটার মর্যাদাটা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।’
আরেকজন লিখলেন, ‘মহানায়ক আমরা একজনকেই চিনি সেটা হলো উত্তম কুমার.. এর আগে মাননীয়া (মমতা) দেবকে মহানায়ক বানিয়েছিল, এবার তুমি হলে… আসল মহানায়ক যে সে হলো উত্তম কুমার তা, সবার মনেই রয়ে গেছে।’
একজন আবার কটাক্ষ করে লিখলেন, ‘না গ্রহণ করলে যে নিজের জীবনেই ‘গ্রহণ’ লেগে যেতো@অঙ্কুশ।’
প্রসঙ্গত, অঙ্কুশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রেমিকা ও অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনও। লিখলেন, ‘তোমার সফলতার জন্য অভিনন্দন। তোমার কর্মজীবন আরও সাফল্য পাক। আমরা তোমার জন্য গর্বিত। অনেক ভালোবাসা এবং ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা @অঙ্কুশ #মহানায়ক সম্মান।’ সঙ্গে তার মুখে শোনা গেল দিদির গুণগানও। জুড়লেন, ‘ধন্যবাদ এবং প্রণাম নিও দিদি @মমতা।’
View this post on Instagram