পরকীয়া-কুটকাচালি লিখেই সিরিয়াল হিট! বর্তমানে বাংলা সিরিয়ালের এমনই ৪ বিখ্যাত লেখকের নাম জেনেনিন
বাংলা সিরিয়ালের গল্প নিয়ে দর্শকদের মনের মধ্যে অনেক ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়। বেশিরভাগ সিরিয়ালের গল্পেই রয়েছে পরকীয়া, কুটকাচালি শাশুড়ি-বৌমার অশান্তি, নোংরামি আর ষড়যন্ত্র। তবে এমন গল্প লিখেই কিন্তু টেলিভিশনের টিআরপি ধরে রেখেছেন বাংলা সিরিয়ালের সেরা লেখকরা। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল তেমন চারজন লেখক এবং লেখিকার পরিচয়।
লীনা গাঙ্গুলী
লীনা গাঙ্গুলী বাংলার একজন জনপ্রিয় লেখিকা। তার লেখা জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলোর এখন হিন্দিতেও রিমেক হচ্ছে। কিন্তু বাংলাতে দিনে দিনে তার জনপ্রিয়তা যেন কমে আসছে। বিশেষ করে বর্তমানে ‘গুড্ডি’ সিরিয়ালটিকে কেন্দ্র করে দর্শকরা তার লেখনীর উপর খুবই অসন্তুষ্ট। এই সিরিয়ালের তেমন টিআরপিও নেই, দর্শক পছন্দও করেন না। ‘লীনা পিসি’র সিরিয়ালে নাকি পরকীয়া ছাড়া গল্প নেই, এমনটাই অভিযোগ করেন দর্শকদের একাংশ।
অর্ক গাঙ্গুলী
অর্ক গাঙ্গুলী হলেন লীনা গাঙ্গুলীর ছেলে। মায়ের দেখানো পথই অনুসরণ করেছেন তিনি। তিনিও একজন গল্প লেখক। এই মুহূর্তে জি বাংলার ইচ্ছে পুতুল এবং কার কাছে কই মনের কথা সিরিয়ালের গল্প লিখছেন তিনি। ‘কার কাছে কই মনের কথা’র গল্পে শাশুড়ি এবং বৌমার যে অন্তর্দন্দ্ব দেখানো হচ্ছে তাতেও বিশেষ সন্তুষ্ট নন দর্শকরা।
স্নেহাশীষ চক্রবর্তী
স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম একজন জনপ্রিয় লেখক হলেন স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। সেই সঙ্গে তিনি ব্লুজ প্রোডাকশনের কর্ণধার ও পরিচালকও বটে। এই লেখকের অনেক সুপারহিট সিরিয়াল রয়েছে যার মধ্যে আঁচল, খোকাবাবু, টাপুর টুপুর, ভজ গোবিন্দ, মাধবীলতা, জগদ্ধাত্রী উল্লেখযোগ্য। ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে সকলে সম্মান দিয়ে ‘ভগবানের মত দাদা’ বলেন।
সুশান্ত দাস
সুশান্ত দাস স্টার জলসার মেগা হিট কে আপন কে পর সিরিয়ালের গল্প লিখেছেন। আবার কৃষ্ণকলি, তিতলি, আলতা ফড়িং, বাংলা মিডিয়ামের স্রষ্টা তিনি। ভক্তরা তাকে ভালোবেসে ‘শ্রদ্ধেয় কাকু’ বলেন। তার সিরিয়ালের নায়িকা চরিত্রদের দর্শকরা দীর্ঘদিন মনে রাখেন। যেমন জবা, শ্যামা।
এই চারজন লেখক এবং লেখিকা বাংলা সিরিয়ালের গল্পকে অন্যরকম মাত্রা দিয়েছেন। তাদের গল্পের কারণেই বাংলা সিরিয়ালগুলি এত জনপ্রিয়। তবে দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের গল্পে কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজন। তা না হলে তারা দর্শকদের হারিয়ে ফেলবেন।