খোঁজা হচ্ছে প্রকৃত সত্য, ফের বন দপ্তরে শ্রাবন্তী, ডাকা হবে বারবার
বেজির গলায় শিকল পরিয়ে ভালোবাসার যে এই ফল হবে, তা দুঃস্বপ্নেও টের পাননি টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ওই ঘটনার জেরে পশ্চিমবঙ্গের বন দপ্তারের লাগাতার জেরার মুখে নায়িকা। গত ১৫ জানুয়ারি এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় বন্যপ্রাণ বিরোধী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখা। সোমবার তিনি হাজিরা দেন সেখানে।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, সেদিন বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। তাই মঙ্গলবার ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় শ্রাবন্তীকে। এদিনও নায়িকাকে দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করা হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন কর্মকর্তার দাবি, ঘটনার মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত শ্রাবন্তীকে দফায় দফায় ডেকে পাঠানো হবে।
কিন্তু মঙ্গলবারের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে কী তথ্য উঠে এসেছে? বন দপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শ্রাবন্তী না বুঝেই ব্যাপারটি ঘটিয়ে ফেলেছেন। বেআইনি ভাবে তিনি কোনো বন্যপ্রাণী বাড়িতে লুকিয়ে রাখেননি বা পুষছেন না। শুটিংয়ের জন্যই গলায় শিকল পরানো বেজি তাঁর হাতে পৌঁছোয়।
ছোটখাটো প্রাণীটিকে নাকি ভীষণ ভালো লেগে যায় শ্রাবন্তীর। সে জন্য তিনি বেজির সঙ্গে ছবি তুলে শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে হইহই পড়ে যায় পশুপ্রেমীদের মধ্যে। তাদের দাবি, এই ধরনের অমানবিক আচরণ কী করে সমর্থন করলেন শ্রাবন্তী?
আপাতত প্রশ্ন, বেজিটি কী করে অভিনেত্রীর হাতে পৌঁছাল? তা জানার চেষ্টায় বন দপ্তর। যতদিন এর সদুত্তর না মিলছে, ততদিন ডেকে পাঠানো হবে শ্রাবন্তীকে। তাকেও হাজিরা দিতে হবে।
জানা গেছে, শ্রাবন্তীর গাড়ি চালকের মাধ্যমে বেজিটি তার হাতে পৌঁছায়। যদি অভিনেত্রীর সঙ্গে অপরাধের কোনো প্রত্যক্ষ যোগ না থাকে, তাহলেও কি শাস্তি পাবেন তিনি? এ বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ বন দপ্তর। তাদের বক্তব্য, আগে প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে আসুক।